শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : ‘লাঠি তৈরি করে রেখেছেন তো, ভোট চুরি করতে আসলে ওই লাঠি দিয়ে হাঁঠুর নিচে মারবেন।’ দলের নেতাকর্মীদের প্রতি এমন আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভায় মেয়রপ্রার্থী আব্দুল কাদের মির্জা।
তিনি কমীদের উদ্দেশে আরও বলেন, পারবেন তো আপনারা। পায়ের জুতা পুরাতনগুলো নিয়ে যাবেন। কারণ নতুন জুতা দিয়ে মারলে হবে না। পুরানো জুতা স্যান্ডেল দিয়ে ভোট চোরদেরকে মারতে হবে। যেই হোক রাস্তায় বাধায় দিলে, ভোট কেন্দ্রে বিতলামী করলে এ ব্যবস্থা রাখবেন।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে বসুরহাট পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী কর্মী সভায় এসব কথা বলেন মেয়রপ্রার্থী আব্দুল কাদের মির্জা।
তিনি বলেন, আমার ভোট প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য তথাকথিত আওয়ামী লীগাররা নোয়াখালীর বিএনপির সাবেক মেয়র হারুনকে ৫০ লাখ টাকা দিয়ে বসুরহাট পাঠিয়েছে বিএনপির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের দেওয়ার জন্য। মারামারি দাঙ্গা হাঙ্গামা বাধিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। কারণ আমি বলছি ফেয়ার নিরপেক্ষ ভোট হবে। আর ষড়যন্ত্রকারীরা মারামারি ও দাঙ্গা বাধিয়ে প্রচার করবে-এখানে ভোট ফেয়ার হয়নি রক্তপাত হয়েছে।
তিনি বলেন, আগে চেষ্টা করেছে আমাকে পরাজিত করার জন্য, তারা দেখেছে আমাকে হারানো সম্ভব নয়। এখন ষড়ষন্ত্রের ধরন পাল্টিয়ে এসব করছে। আমার বিরুদ্ধে নয়, আমাদের দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র চলছে।
কাদের মির্জা বলেন, ভোটের দিন দুপুর ১২টায় হয়তো বিএনপির মেয়রপ্রার্থী কামাল চৌধুরী বলবেন, কারচুপি হয়েছে আমি ভোট বর্জন করলাম। বিএনপির প্রত্যাশায় এটা। আরেক প্রার্থী জামায়াতের মোশারফের কথা আমি জানি না। এরা সবাই টাকা পয়সা খেয়ে ভোটে রং লাগানোর চেষ্টা করছে।
দলের কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এসব ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। আমিও অনেক ভুলভ্রান্তি করেছি, অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছে। এটা আর চলতে দেওয়া যায় না।
কাদের মির্জা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছেন ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য। শেখ হাসিনা ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কিন্তু ভোটের অধিকার এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সেই হাসিনাই মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন। আমি নোয়াখালী ও ফেনীর আঞ্চলিক রাজনীতি, অনিয়ম সন্ত্রাস দুনীতি ও লুটপাটের কথা বলি। যড়যন্ত্রকারীরা জাতীয় রাজনীতির দিকে নিয়ে যায়।